September 19, 2024, 5:00 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
উপজেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ। নিউ হোপ এ্যানিমেল নিউট্রিশন কোম্পানীর পক্ষ হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য গো- খাদ্য প্রেরণ। বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫। ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কাহালুর মাঝপাড়া জাগ্রত মানবসেবা সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন। তালোড়ার ডাঃ শফিউল করিমের প্রাণ নাশের চেষ্টা থানায় জিডি। কাহালুর এরুইল বাজার ইসলামী ব্যাংক এজিন্ট শাখার গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। বগুড়ার কাহালুতে নকল সোনা মূর্তি সহ ২ জন গ্রেফতার। কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত।

বিরামপুরে ২০ টাকা হালির লেবু ৪০ টাকা!

দিনাজপুর বিরামপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজির দাম রমাজনের প্রথম দিন থেকেই দাম বেড়েছে। সবজি বাজারে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। মাঝে কয়েক দিন দাম কমলেও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিরামপুর নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটল, সজিনা ডাটা ও করলা- এই তিনটি সবজির দাম শতক ছুঁয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সবজির মধ্যে প্রতি কেজি আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা, সজিনা ডাটা ১৪০ থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ১৫ টাকা থেকে দাম উঠেছে ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তির দিকে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ১০-১৩ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ৭ থেকে ৯ টাকায়।

মেহেদী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। ৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পাশাপাশি মাছ-মাংসের দামও অনেক। তাই, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কাউসার নামে এক ক্রেতা বলেন, অন্য দেশে দেখি রমজানে পণ্যের দাম কমে যায়,কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। রমজানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে যা সিমার বাহিরে। গরুর গোস্তের দাম ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। গরিবরা কি করবো আমরা। আজকাল ১/২ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে কিছু কেনাই হয় না।

মোহাম্মদ সাব্বির এলাহী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। গত তিনদিন আগে গাভির দুধের কেজি ছিল ৫৫-৬০ টাকা, আজকে (বৃহস্পতিবার) দাম বেড়ে হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি তাই বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারে কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ‘রমজানে যেন বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পণ্যের দাম তো অনেক কারণে বাড়ে। তবু আমাদের তদারকি চলছে যেন কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com